কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের মধুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে আকামদ্দির ছেলে আলমগীর নামের এক লম্পট উধাও হয়েছে বলে জানা গেছে ।
আলমগীরের স্ত্রী সীমা জানান, ১১ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয় এবং শিমুল নামের ৮ বছরের একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু তাদের রয়েছে। দিনমজুর বাবার বড় মেয়ে সীমা বিয়ের পর থেকেই তার দুশ্চরিত্র স্বামীর অপকর্মে বাধা দিতে গিয়ে নানারকম নির্যাতনের শিকার হন। বিয়ের কিছুদিন পরেই আলমগীরের নজর পরে তার মেজো বোনের দিকে এবং ফুঁসলিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তিতে ৪ বছর পূর্বে তাকে বিয়ে দিয়ে দিলেও আলমগীর তাকে রেহাই দেয়নি। স্বামী সংসার ভেঙে দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করে সে। অবশেষে গ্রাম্য শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে তার মেজো বোন মুক্তি পায়। এরপর আলমগীর তার ছোটবোনের সাথে কবে সম্পর্কে জড়িয়েছে এটা তাদের অজানা গত বুধবার ২ সেপ্টেম্বর তার ছোট বোন প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসলে আলমগীরের নিকট সীমা ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে সে বলে কাজের সন্ধানে কমলাপুর এসেছে। পরে আলমগীর তার মায়ের কাছে স্বীকার করে তার শ্যালীকা সাথে আছে। ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত আলমগীর বা তার শ্যালীকার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান মধুপুর গ্রামের মুক্তার আলী মন্ডলের ছেলে শাজাহান ঘটনার দিন মেয়েটিকে মোটর সাইকেল যোগে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মজিবুর রহমান জানান এ বিষয়ে মেয়েটির পরিবার থেকে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। সামাজিক অবক্ষয় রোধে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।